RAMGONJ HIGH SCHOOL

RAMGONJ, LAKSHMIPUR

Notice Demo Certificate giving ceremony Academic Convocation শেখ রাসেল পদক ২০২২ এর জন্য আবেদন আহবান স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে

প্রশ্নবিদ্ধ বিবর্তনবাদ

                                              প্রশ্নবিদ্ধ বিবর্তনবাদ

                                                                          হাবিব পাটওয়ারী

প্রথম যখন DNA আবিষ্কৃত হয় তখন বিজ্ঞানীরা বলেন যে মানুষের ডি.এন.এ – এর ৯৬-৯৮% হল নন কোডিং অর্থাৎ এরা প্রোটিন তৈরিতে অংশ নেয় না। এই তথ্য আবিষ্কারের পরই বিবর্তনবাদীরা লাফালাফি শুরু করে দিল। তাদের বক্তব্য, বিবর্তিত হওয়ার ফলেই মানুষের শরীরে এত বেশি অপ্রয়োজনীয় ডি.এন.এ থেকে গেছে। যদি বিবর্তিত না হত তাহলে এগুলো থাকত না। কিন্তু পরবর্তিতে ২০১২ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর Epigenetics- এর বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা র ফল প্রমাণসহ প্রকাশ করে এবং তাতে বলা হয়, মানুষের শরীরের কোনো ডি এন এ ই অকেজো নয়। বরং ডি.এন.এ গুলোতে আছে কোনো না কোনো বায়োকেমিক্যাল ফাংশন। এরপর বিবর্তন মহলে রাতারাতি শোক নেমে আসে। অথচ নন কোডেড ডি.এন.এ- এর কথা শুনে বিবর্তনবাদীরা এতই খুশি হয়েছিল যে, রিচার্ড ডকিন্স নামের একজন বিবর্তন বিজ্ঞানী “The Selfish Gene” নামের বিশাল একটা বই লিখে ফেলেছিলেন। এ তো গেলো Junk DNA এর কথা। এবার আসা যাক Apendix এর কথায়। বিবর্তনবাদীরা বলে যে Apendix নাকি সম্পূর্ন অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ। বিবর্তন না ঘটলে Apendix এর মত অকেজো অঙ্গ মানবদেহে থাকত না। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছে যে Apendix মোটেও অপ্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়। এটি লিম্ফ টিস্যু (Limf Tissue) কে ধারণ করে যা আমাদের দেহে ভাইরাস- ব্যাকটেরিয়া প্রবেশে বাধা দেয়। বিবর্তনবাদীরা সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার করেছিল মিসিং লিঙ্ক (Missing Link)নিয়ে। মিসিং লিঙ্ক হল একটি প্রাণী থেকে আরেকটি প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার মধ্যবর্তী পর্যায়। ব্যাপারটা পানির অবস্থা দিয়ে বোঝানো যাক। বরফকে যদি আস্তে আস্তে তাপ দিয়ে বাষ্প করতে চাই, তাহলে সেটা এক লাফেই বাষ্প হবে না। প্রথমে পানি হয়ে পরে তা বাষ্পে পরিণত হবে। এখানে এই পানিই হল মিসিং লিঙ্ক। বিবর্তন বিজ্ঞানীদের বড় একটি দাবি হল মানুষ বনমানুষ বা Apes থেকে বিবর্তিত হয়ে এসেছে। এটা তখনই প্রমাণিত হবে যখন এপ্স ও মানুষের মধ্যবর্তী কোনো মিসিং লিঙ্ক পাওয়া যাবে যা হবে এখন ও মানুষের সমন্বিত একটি প্রাণী। ১৯১২ সালে বিবর্তনবাদীরা Pitdown Man নামক একটি ফসিলকে এন্স ও মানুষের মিসিং লিঙ্ক বলে চালিয়ে দেয়। ফসিলটির কথা ঐ সময়ে এতটাই প্রচারিত হয় যে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এটাকে দেখতে আসে। কিন্তু ১৯৫৩ সালে কার্বন ডেটিং এর মাধ্যমে জানা যায় ফসিলটি মাত্র ৬০০ বছরের পুরনো Pitdown Man কোনো ওরাং ওটাং বা শিম্পাঞ্জি মাথার খুলি । এখানেই তারা থেমে থাকেনি। ১৯৮৩ সালে পাওয়া Ida নামের একটি ফসিলকেও তারা মিসিং লিঙ্ক বলে প্রচার করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে টেক্সাস, ডিউক ও শিকাগো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেন যে Ida কোনো মিসিং লিঙ্ক নয়। এটি আসলে “Lametour” নামে একটা প্রাণীর ফসিল। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে বিবর্তনবাদিদের হাতের পাঁচটাও যেন ফুরিয়ে গেছে। বার বার তারা প্রাণীর বিবর্তন সত্য হিসেবে প্রমাণ করে স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে চাইলেও সময়ের বিবর্তনে তাদের সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।

লেখক:: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি,

রামগঞ্জ মডেল কলেজ প্রাক্তন শিক্ষার্থী, ব্যাচ ২০১৯, রাউবি।

Leave a Reply